ল্যাপটপ না ডেস্কটপ? (Laptop VS Desktop) | এর সুবিধা ও অসুবিধা এক পলকে দেখে নেই..
ল্যাপ বা কোলের উপর স্থাপন করে ব্যবহার করা যায় এমন ছোট আকারের কম্পিউটারকে ল্যাপটপ বলা হয়। এরুপ কম্পিউটার দেখতে অনেকটা ছোট ব্রিফকেসের মত। ব্রিফকেসের মতো খুললে ল্যাপটপের উপরের অংশে একটি সমতল এলসিডি স্ক্রিন দেখা যায়। আর নিচের অংশে থাকে কী বোর্ড, পাওয়ার বাটন এবং টাচপ্যাড। ল্যাপটপকে ভাঁজ করে রাখা যায়। ল্যাপট কম্পিউটার একটি হালকা বহনযোগ্য কম্পিউটার। ল্যাপটপে রিচার্জেবল ব্যাটারি বা এসি এভাস্টারের সাহায্যে বিদ্যুত এ চলে। এ কম্পিউটারে সিডিরম/ ডিভিডিসহ মাল্টিমিডিয়া যুক্ত থাকে। ল্যাপটপ কম্পিউটারে ল্যান কার্ড যুক্ত থাকে এবং সিরিয়াল, প্যারালাল, ইউএসবি পোর্ট সহ সমস্ত কমিউনিকেশন পোর্ট যুক্ত থাকে। এছাড়া ল্যাপট কম্পিউটারে একটি ১৫পিন ভিজিএ পোর্ট থাকে যেখানে এক্সটারন্যাল মনিটর বা মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর যুক্ত করা যায়।
একটি পূর্ণ আকারের ডেস্কটপ এর বিকল্প হিসেবে একজন ব্যবহারকারী সর্বত্র অনায়াসে ল্যাপটপ ব্যবহার করতে পারেন। ব্যাটারী প্রযুক্তির উৎকর্ষতার জন্য এখন ল্যাপটপকে ঘন্টার পর ঘন্টা চালানো সম্ভব। ল্যাপটপে সকল কী ছাড়াও মাউসের বিকল্প ট্র্যাকবল অথবা টাচ প্যাড থাকে। ল্যাপটপ কম্পিউটার সাধারণত : ৯x১২x২ ইঞ্চি সাইজের হয়ে থাকে এবং এর ওজন ৭ পাউন্ড বা তার বেশি বা কম হয়ে থাকে।
এক কথায় যদি বলি-
- ওজন হালকা এবং সহজে বহন করা যায়।
- সরাসরি বিদ্যুৎ এর সাথে যুক্ত করা ছাড়াওএর ব্যাটারির সাহায্যে কয়েক ঘন্টা চলে।
- তুলনামূলকভাবে বিদ্যুৎ কম খরচ হয়।
- ডেস্কটপের চেয়ে কম তাপ উৎপন্ন হয়।
- মাউসের পরিবর্তে টাচপ্যাড ব্যবহার করা যায়।
- একের ভিতর অনেক সুবিধা পাওয়া যায়।
- ডেস্কটপের চেয়ে দাম বেশি।
আর যদি ডেস্কটপ কম্পিউটারের কথা বলি-
- ডেস্ক এর উপর রেখে কাজ করা হয় বলে এ ধরনের কম্পিউটারকে ডেস্কটপ কম্পিউটার বলে।
- ওজন তুলনা মুলকভাবে বেশি বিধায় সহজে বহন করা যায় না।
- তুলনা মুলক ভাবে বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়।
- মানে যদি সহজ কথায় বলি ল্যাপটপের বিপরীত গুলো হল অসুবিধা ।
- তবে অনেক পার্টস আপগ্রেড করা যায় সহজে, স্থায়িত্ব বেশি দিন, নষ্ট হলে সহজে ঠিক করা যায়।
কন্টেনটি ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না। জানার থাকলে কমেন্ট করে জানান। ধন্যবাদ।