fbpx

মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মী নিয়োগের আবেদন শুরু।

Facebook
মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মী নিয়োগের আবেদন শুরু।

বিজ্ঞাপন

পারেন। মালয়েশিয়াতে বিদেশি কর্মী নেয়ার জন্য তাদের যে কেন্দ্রীয় অনলাইন সিস্টেমটি যেটি আছে এফডব্লিউসিএমএস সেই অনলাইন সিস্টেমে এরই মধ্যে আবেদন করতে শুরু করেছেন মালয়েশিয়ার নিয়োগদাতারা অর্থাৎ তারা যে বিদেশি কর্মী নেবে সেজন্য সরকারের কাছে তারা আবেদন করছেন নিজেদের চাহিদা অনুযায়ী যেই কোম্পানির যতগুলো কর্মী প্রয়োজন। তবে প্রাথমিকভাবে শুধুমাত্র প্লান্টেশন খাত বা পামওয়েল খাত যেটি সেই প্লান্টেশন খাতে কর্মীদের জন্য তারা আবেদন করছে এবং এই আবেদন করার পরে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে অন্যান্য সকল সেক্টরের জন্য তারা আবেদন করতে পারবে। একই পদ্ধতিতে নিয়োগদাতারা আবেদন করবে। এখানে বাংলাদেশ থেকে যারা যাবেন তাদের কিন্তু কোন আবেদনের বিষয় নেই। অর্থাৎ যে কোম্পানি আপনাকে নেবে তারা সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিচ্ছে যে আমার ১০০ কর্মী লাগবে বা ১০০০ কর্মী লাগবে এ জন্য তারা আবেদনটি করছে। সেই আবেদন সেখানে প্রক্রিয়া হতে বা সেখানকার কাজকর্মগুলো শেষ হতে পাঁচ থেকে সাত কার্যদিবস লাগে সাধারণত। এরপরে সেই যে অনুমতিটি পাবে সেই অনুমোদনপত্রটি একইসাথে বাংলাদেশ থেকে যদি তারা নিতে চায় তাহলে বাংলাদেশের যে রিক্রুটিং এজেন্সি কর্মী পাঠাবে তাদের কাগজপত্র এবং পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি সেখান থেকে নিয়ে বাংলাদেশ হাই কমিশনে জমা দিবে। বাংলাদেশ হাই কমিশনে জমা দেওয়ার পর বাংলাদেশ হাই কমিশন এই কর্মীদের যে চাহিদা আছে ওই নিয়োগদাতার বা ওই কোম্পানির সেটি যাচাই বাছাই করবে সরজমিনে গিয়ে করতে হবে এটি নিয়ম এবং এটি অবশ্যই করা উচিত। এখানে যেন কোনো রকম কোনো ফাঁকফোকর না থাকে কোনো রকম কোনো শিথিলতা বা কোনো রকম অবহেলা যেন করা না হয় সে বিষয়টি অবশ্যই মন্ত্রণালয় খেয়াল রাখবে। কারণ অ্যাটেস্টেশন বা সত্যায়ন করতে হবে যে ডিমান্ড লেটার সেটি অবশ্যই কোম্পানির পরিদর্শন করে যেন করা হয়। তাহলে কর্মীরা পরবর্তীতে গিয়ে দেখবে যে হয়তো কোম্পানির নামে পাঠানো হয়েছে সেই কোম্পানি নেই এমন ঘটনা আগে কিন্তু ঘটেছে। এবার সতর্ক থাকতে হবে নিশ্চয়ই। এরপর দূতাবাস থেকে সেটি সত্যায়িত হয়ে যখন আসবে আসার পরে বাংলাদেশে পাঠাবে। বাংলাদেশে যখন আসবে মন্ত্রণালয় থেকে নিয়োগ অনুমতি নেয়ার জন্য। মন্ত্রণালয় তখন এটি যাচাই বাছাই করে নিয়োগ অনুমতি দেবে যে হ্যাঁ অমুক রিক্রুটিং এজেন্সি মালয়েশিয়া তমুক কোম্পানিতে এতজন কর্মী পাঠাবে তাকে নিয়োগ অনুমতি দেয়া হলো। নিয়োগ অনুমতি দেয়ার পর এই যে যাদেরকে তারা নিবে রিক্রুটিং এজেন্সি পাঠাবে সেই কর্মীদের পাসপোর্ট মেডিকেল রিপোর্টসহ অন্যান্য সকল কাগজপত্র বায়োডাটা তখন মালয়েশিয়াতে আবার পাঠাবে। মালয়েশিয়া থেকে তখন ইমিগ্রেশনে আবার আবেদন করা হবে কলিং ভিসার জন্য। তখন কলিং ভিসা ওই ব্যক্তির নামে আপনি যারা যেতে চান তাদের নামে কলিং ভিসা ইস্যু হয়ে আসবে। আপনার নাম পাসপোর্ট নাম্বার সহ কলিং ভিসা ইস্যু হয়ে আসবে তালিকা আসবে এবং ইমিগ্রেশন সিল সই প্যাড সবকিছু সেখানে থাকবে। সেটি পরবর্তীতে আপনারা আরও বিস্তারিত দেখাবো এরপর সেটি আবার ঢাকায় আনবেন। ঢাকায় আসার পরে এবার বাংলাদেশে যেই হাই কমিশন আছে মালয়েশিয়ার, মালয়েশিয়ার হাই কমিশন যেটি ঢাকায় সেখানে পাসপোর্ট সহ ভিসা স্টিকারের জন্য সেখানে জমা দেয়া হবে। সেই ভিসা স্টিকার হওয়ার পরে সকল কাগজপত্র আবার এবার বিএমইটিতে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো বিএমইটিতে ছাড়পত্রের জন্য বা ম্যানপাওয়ার ক্লিয়ারেন্স ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন করা হবে। বিএমইটি আবার সব যাচাই বাছাই করে এরপরে স্মার্ট কার্ড যেটি আমাদের সবচেয়ে আলোচনার বিষয় বা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিএমইটি ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ড যেটি এই কার্ডটি যখন একজন কর্মী পাবেন এরপরে তিনি করোনা টেস্ট করে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিতে পারবেন। তাহলে কাজগুলো কিন্তু অনেক ধাপ যদি সব আমি বলেছি অনেকক্ষণ লম্বা করে কিন্তু এগুলো সব অনলাইন পদ্ধতিতে হবে সেই কারণে যাওয়া আসার বিষয়গুলো আসলে অনলাইনের মাধ্যমে হবে যেটি হয়তো খুব বেশি সময় লাগবে না পদ্ধতিগত যে সময়গুলো সেগুলো লাগবে বা যাচাই-বাছাই যেহেতু ম্যানুয়ালি করতে হবে সেগুলো হয়তো সময় লাগবে। এরপরে হচ্ছে যে বিএমইটি স্মার্ট কার্ড নিয়ে কর্মীরা কোভিড টেস্ট করে মালয়েশিয়া চলে যাবে। মালয়েশিয়া যাওয়ার পরে সাত দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন সেখানে থাকতে হবে তবে এখন পর্যন্ত কত টাকা খরচ হবে সেটি বলা হয়নি। মন্ত্রণালয় থেকে আমরা অপেক্ষায় আছি মন্ত্রণালয় নিশ্চয়ই এ বিষয়ে কাজ করছে। আর ডাটা ব্যাংক একটি করা হবে বিএমইটি সেই ডাটা ব্যাংকে কর্মীরা আগে নিবন্ধন করবেন যাওয়ার জন্য এটি বলা হচ্ছে। নিবন্ধন করার পরে এরপরে হচ্ছে যে সেখান থেকে কর্মী বাছাই করা হবে। কিন্তু সেটি কতটুকু সম্ভব হবে এ নিয়ে যদিও অনেকেরই প্রশ্ন আছে তবে অভিভাসন ব্যয়টি যদি কম নির্ধারণ করে দেয়া হয় দ্রুত সময়ের মধ্যে যদি বলে দেয়া হয় মন্ত্রণালয় থেকে তাহলে দেখা যাবে যে কর্মীরা প্রস্তুতি নিতে পারবেন আর তখন সরকার এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে পারবে বা আমরা যারা সংবাদকর্মীরা আছি আমরা যারা আপনাদেরকে তথ্য দেই তারা তথ্য দিয়ে আপনাদেরকে সচেতন করতে পারবো। তবে একটু জিনিস খেয়াল রাখবেন মন্ত্রণালয় যেই খরচ বা ব্যয় নির্ধারণ করে দেবেন দয়া করে তার বেশি কেউ দিবেন না দুই পাঁচ হাজার টাকা বেশি কম সেটি ভিন্ন হিসাব কিন্তু সরকার যদি দেড় লাখ নির্ধারণ করে আপনি চার লাখ টাকা দিয়ে দয়া করে যাবেন না। এটি সবাই সতর্ক থাকবেন আপনি যদি বেশি টাকা না দেন আমি যদি না দেই আরেকজন যদি না দেয় আরেকজন যদি না দেয় তাহলে দেখা যাবে যে বেশি কেউ নিতে পারবে না কারণ টাকা আপনার ক্ষতিগ্রস্ত কিন্তু আপনি হবেন। সবাই ভালো থাকবেন নিরাপদে থাকবেন সুস্থ থাকবেন মালয়েশিয়া সম্পর্কে সব তথ্য যদি জানতে চান তাহলে প্রবাস তথ্য কেন্দ্র ইউটিউব চ্যানেলে গিয়ে প্লেলিস্ট আছে সেই প্লেলিস্টে প্রবাস তথ্য কেন্দ্র মালয়েশিয়া অথবা প্রবাস তথ্য কেন্দ্র মালয়েশিয়া নামে যদি আপনি ইউটিউবে সার্চ দেন তাহলে দেখা যাবে সেখানে সব তথ্যগুলো চলে আসবে তারিখ অনুযায়ী আপনারা দেখে নিতে পারেন। সবাই ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

আরও পড়ুন


Warning: session_start(): Cannot start session when headers already sent in /home/ghatitco/public_html/wp-content/themes/ghatit-news-theme/includes/funcation-ex.php on line 437