প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে আগামী ১৫মার্চ ২০১৯ইং হতে….
admin
২৩ February ২০১৯, ০১:৫৭
বিজ্ঞাপন
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে (ডিপিই) চলছে সরকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ এর লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি। ১৫ মার্চ থেকে ও পরীক্ষা শুরু করতে চলছে যাবতীয় প্রস্তুতি শেষের দিকে । তবে প্রথম ধাপে দেশের অনেক ছোট ছোট জেলায় লিখিত পরীক্ষা নেয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট
সূত্রে যানা গেছে।
সূত্র জানায়- এবার পরীক্ষা পদ্ধতিতে আসছে অনেক পরিবর্তন। প্রথম বারের মতো লিখিত পরীক্ষা কয়েকটি ধাপে আয়োজন করা হবে। যেসব জেলায় লিখিত পরীক্ষা আগে শেষ হবে সেখানে আগেই মোখিক পরীক্ষা নিয়ে চুড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে।
এ বিষয়ে ডিপিইর মহাপরিচালক ড. এ এমফ এম মনজুর কাদির বলেন, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা ১৫ মার্চ শুরু হবে। লিখিত পরীক্ষা ৫
অনলাইনে পড়তে স্ক্যান করুন
বিজ্ঞাপন
থেকে ৬টি বা তাও বেশি ধাপে আয়োজন করা হতে পারে।
তিনি আরো বলেন- যেসব জেলায় ৫০ হাজার বা তার বেশি আবেদনকারী সেখানে একাধিক ধাপে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মতামতের উপর এটি নির্ভর করবে।
আরো জানা যায়- প্রথম দিকে জয়পুরহাট, নড়াইলসহ এমন ছোট ছোট জেলা আগে পরীক্ষা শুরুর কথা জানিয়েছেন। আরো জানা যায় যে- পরীক্ষা সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড পদ্ধতিতে হবে। নির্ধারিত জেয়ায় পরীক্ষা আয়োজন আগের রাতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের কাছে প্রশ্ন পতের সব সেট পাঠানো হবে। পরীক্ষার দিন সকাল ৮টায় প্রশ্নপত্র ছাপিয়ে তা কেন্দ্রে পাঠানো হবে।
আবেদনকারি এই ওয়েব ঠিকানা থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবে:- dpe.teletalk.com.bd অথবা অন্যান্য তথ্যের জন্য: www.dpe.gov.bd এ পাওয়া যাবে।
ডিপিইর কর্মকর্তারা জানান, গতবারের চেয়ে এবার জমা পড়েছে দ্বিগুন আবেদন। গত নিয়োগ পরীক্ষায় প্রায় ১২ লাখ আবেদন করে। এবং এবারে ১২ হাজার পদের বিপরীতে জমা পড়েছে ২৪ লাখের বেশি আবেদন। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে চার লাখ ৫২ হাজার ৭৬০, চট্টগ্রামে তিন লাখ ৮২ হাজার ৩৩৫, রাজশাহীতে তিন লাখ ৬২ হাজার ৯২৫, খুলনায় দুই লাখ ৪৮ হাজার ৭৩০, বরিশালে দুই লাখ ৫৫ হাজার ৮২৭, সিলেটে এক লাখ ২০ হাজার ৬২৩, রংপুরে দুই লাখ ৯৪ হাজার ৩৬৮ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে দুই লাখ ৮২ হাজার ৪৩৭ জন আবেদন করেছেন।
কর্মকর্তারা জানান, পাশাপাশি বসা পরীক্ষার্থীদের কেউ যাতে একই সেটের প্রশ্নপত্র না পায় সেই জন্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রার্থীদের প্রশ্নের সেট নির্ধারণ করা হবে। পরীক্ষার্থীর রোল নম্বরের ওপর প্রশ্ন সেট নির্ধারণ করা হবে। এবার পরিদর্শক নিয়োগের ক্ষমতা কেন্দ্র সুপারের কাছে থাকছে না। এক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষককে অন্য প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব দেয়া হবে। সেন্ট্রাল থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শকদের শুধু দায়িত্ব বুঝে দেবেন কেন্দ্র সুপার।
মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘স্বচ্ছ, দুর্নীতিমুক্ত ও প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে নিয়োগ পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন আনা হচ্ছে। পরীক্ষার দিন প্রতিটি কেন্দ্রের বাইরে বাড়তি নিরাপত্তা রাখা হবে। কেউ কোনো অনৈতিক কাজ করলে বহিষ্কারের পাশাপাশি তার খাতাও বাতিল করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘পরীক্ষা পদ্ধতি ডিজিটালাইজড করতে বুয়েটের সহায়তায় একটি আধুনিক সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে। এটির মাধ্যমে পরীক্ষার্থীর আসন বিন্যাস, পরিদর্শক নির্বাচনসহ যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।’
ডিপিই কর্মকর্তারা জানান, পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে নেয়ার জন্য ২০ সেটের বেশি প্রশ্নপত্র তৈরি করা হবে। পরীক্ষার সময়সূচি, ওএমআর ফরম ডিজাইন ও মূল্যায়ন, ফলাফল প্রকাশ কার্যক্রম কোন পদ্ধতিতে হবে তা বুয়েট নির্ধারণ করবে। তবে আগের মতোই লিখিত পরীক্ষা ৮০ নম্বর ও ভাইভায় ২০ নম্বর থাকবে।
সোর্স: bangladeshtoday.net
Warning: session_start(): Cannot start session when headers already sent in /home/ghatitco/public_html/wp-content/themes/ghatit-news-theme/includes/funcation-ex.php on line 437