fbpx

অবশেষে ই-পাসপোর্ট চালু হল বাংলাদেশে-আবেদন কিভাবে?

Facebook
অবশেষে ই-পাসপোর্ট চালু হল বাংলাদেশে-আবেদন কিভাবে?

বিজ্ঞাপন

তিন ধরনের ছবি থাকবে। দশ আংগুলের ছাপ থাকবে এবং চোখের আইরিশ বা চোখের মনির ছবি থাকবে। ফলে ভ্রমনকারীর তথ্য কর্তৃপক্ষ খুব সহজে চিহৃত বা জানতে পারবে। এই ই-পাসপোর্টের সবচেয়ে সুবিধা হচ্ছে ইমেগ্রেশন প্রকিয়া খুব সহজেই এবং দ্রুততর মধ্যেই সম্পূর্ন করার সম্ভব হবে। তবে ই-পাসপোর্টের মাধ্যমে দ্রুতম সময়ের মধ্যেই ইমিগ্রেশন সুবিধা পেতে হলে, অবশ্যই ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়ায় ই-পাসপোর্ট রিটকারী ইগেট ব্যবস্থা থাকতে হবে। অথ্যায় সাধারণ বা স্বাভাবিক প্রকিয়ায় ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পূর্ন করতে হবে। ফলে একজন ভ্রমনকারীর যদি ই-পাসপোর্ট থাকে এবং ঐ ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পূর্ন করতে যদি ই-পাসপোর্টে রিটকারী গেট থাকে তাহলে ই-পাসপোর্টধারীকে দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে থেকে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পূর্ন করা লাগবে না। ই-পাসপোর্ট ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট জায়গায় দাড়ালেই অটোমেটিক সিস্টেমে ভ্রমনকারীর ছবি তুলে নেওয়া হবে, থাকবে ফিঙ্গার প্রিন্টার সুবিধা, সব ঠিক থাকলে খুব সহজে এবং অনায়সে ইমিগ্রেশনের ইগেট পার হতে পারবেন। ই-পাসপোর্টের তথ্যের সাথে ব্যক্তির তথ্যের কোন মিল না থাকে তাহলে সংগে সংগে সেখানে লাল বাতি জ্বলবে এবং ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ হবে। এমনকি কোন পাসপোর্ট  ধারীর বিরুদ্ধে নিশ্বেধাক্ষা থাকে তাহলে সেটা অটোমেটিকলি কর্তৃপক্ষ জেনে যাবে। আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন এই প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ন করেন । ই-পাসপোর্ট আবেদনের ৫(পাঁচ) টি ধাপ: ই-পাসপোর্ট আবেদনের জন্য ৫টি সহজ ধাপ রয়েছে। ধাপগুলো হলো: ধাপ-১ : বর্তমান বসবাসরত জেলাতে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম শুরু হয়েছে কি না দেখুন । বাংলাদেশের বিভিন্ন বিভাগীয় ও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস এবং বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে ধাপে ধাপে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম শুরু হবে । তাই নিজ জেলাতে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম শুরু হলে আবেদনের প্রস্ততি গ্রহণ করুন ।অনলাইনে আবেদন আবেদনের ক্ষেত্রে বর্তমান ঠিকানা অনুযায়ী জেলা ও থানার নাম অর্ন্তভুক্ত করান । বাংলাদেশের পাসপোর্ট অফিস অথবা দূতাবাসের লিস্ট থেকে নির্দিষ্ট অফিস নির্বাচন করুন । বাংলাদেশের পাসপোর্ট অফিস অথবা দূতাবাসের লিস্ট থেকে নির্দিষ্ট অফিস নির্বাচন করুন । ধাপ-২ : অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ করুন। পিডিএফ এডিটরের সহায়তায় ফরম পূরণ করে প্রিন্ট করুণ। ই-পাসপোর্ট আবেদন দুইটি প্রক্রিয়ায় সম্পাদন করা যায় । অনলাইন আবেদন : আবেদন প্রক্রিয়ার জন্য ক্লিক করুন ‘এখানে’ । অনলাইন পেমেন্ট অপশন নির্বাচন করুন; এতে আপনার সময় সাশ্রয় হবে । পিডিএফ আবেদন পূরণ : ই-পাসপোর্টের পিডিএফ আবেদন ফরম ডাউনলোড করার পর কম্পিউটারে সরাসরি পূরণ করতে পারেন । পূরণকৃত ফরম প্রিন্ট করে প্রয়োজনীয় দলিলাদিসহ (যেমন : জাতীয় পরিচয় পত্র, পুরাতন পাসপোর্ট [যদি থাকে], প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অন্যান্য প্রমাণক) পাসপোর্ট অফিস বা দূতাবাসে যোগাযোগ করুন । তবে সুনিশ্চিত হউন আপনার সংশ্লিষ্ট অফিস/দূতাবাসে ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম শুরু হয়েছে কি না ? দ্রুত কার্যসম্পাদন করতে ক্লিক করুন ‘এখানে’। মনে রাখুন : আবেদন অবশ্য কম্পিউটারে পূরণ করতে হবে। হাতে লেখা কোন আবেদন গৃহীত হবে না। ধাপ-৩ : পাসপোর্ট ফি পরিশোধ । তালিকাভুক্তির জন্য পাসপোর্টের নির্ধারিত ফি পরিশোধ করুন । আপনি যখন অনলাইন আবেদন করবেন তখন ফি পরিশোধের জন্য অনেক বিকল্প পাবেন (যেমন : ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ ও অন্যান্য) এছাড়া নির্ধারিত ব্যাংকে ফি পরিশোধ এর সুযোগ রয়েছে । যখন ব্যাংক ফি পরিশোধ করবেন তখন পাসপোর্ট আবেদনপত্র সাথে রাখা প্রয়োজন। ধাপ-৪ : ছবি ও ফিঙ্গার প্রিন্টের জন্য পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ : ছবি ও ফিঙ্গার প্রিন্টের জন্য পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার আগে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে নিয়েছেন কি না নিশ্চিত হোন। কমপক্ষে প্রিন্টেড আবেদন, পেমেন্ট স্লিপ, জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্ম সনদ, সর্বশেষ পুরোনা পাসপোর্ট (যদি থাকে) এবং অন্যান্য কাগজপত্র (যেটি আপনি সহায়ক মনে করেন) সঙ্গে রাখুন। বর্তমানে ঠিকানা অনুযায়ী দেশের অভ্যন্তরে অবস্থিত সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিসে আবেদন করুন। সকল বাংলাদেশ দূতাবাসে দেশের ঠিকানা অনুযায়ী আবেদন করা যাবে । পাসপোর্ট অফিসে তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিষয়াদি যাচাই করা হয়। ⦁ কাগজপত্র ও ব্যক্তিগত তথ্য যাচাই। ⦁ আবেদনকারীর ফটো তোলা। ⦁ আঙ্গুলের ছাপ ও আইরিশের ছবি গ্রহণ। ⦁ যথাযথভাবে পাসপোর্ট ফি পরিশোধ হয়েছে কিনা ? তালিকাভুক্তির পর সরবরাহকৃত ডেলিভারি স্লিপ সংরক্ষন করুন । পাসপোর্ট গ্রহণের সময় ডেলিভারি স্লিপ/ রশিদ প্রর্দশন বাধ্যতামূলক । ধাপ-৫ : পাসপোর্ট অফিস থেকে ই- পাসপোর্ট সংগ্রহ : আবেদনকারীকে সশরীরে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে । পাসপোর্ট সংগ্রহের সময় আবেদনকারীর ফিঙ্গারপ্রিন্টের সাথে এনরোলমেন্টের ফিঙ্গার প্রিন্টের মিল আছে কি না পরীক্ষণ করা হবে । পাসপোর্ট সংগ্রহের সময় নিম্ন বর্ণিত প্রমাণক সাথে আনতে হবে । ⦁ ডেলিভারী স্লিপ/রশিদ: এনরোলমেন্ট সম্পন্ন হওয়ার পর প্রদেয় স্লিপ ⦁ সর্বশেষ পুরানো পাসপোর্ট (যদি থাকে)। বিশেষ ক্ষেত্রে উপযুক্ত বাহকের কাছে পাসপোর্ট প্রদান করা যেতে পারে। ⦁ ১১ (এগার) বছরের কম বয়সী সন্তানের পিতামাতা/বৈধ অভিভাবক নিজের জাতীয় পরিচয় পত্র, আবেদনকৃত পাসপোর্ট ডেলিভারি স্লিপ/রশিদ ও পূর্বের পাসপোর্ট (যদি থাকে) প্রদর্শন সাপেক্ষে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে । ⦁ অসুস্থ ব্যক্তির ক্ষেত্রে ক্ষমতা হস্তান্তর পত্র, আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র, পুরাতন পাসপোর্ট (যদি থাকে) এবং ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র, পুরাতন পাসপোর্ট (যদি থাকে) যাচাই সাপেক্ষে পাসপোর্ট প্রদান করা যাবে । 1. Online Police Clearance: আবেদন 2. Passport Application : আবদেন 


Warning: session_start(): Cannot start session when headers already sent in /home/ghatitco/public_html/wp-content/themes/ghatit-news-theme/includes/funcation-ex.php on line 437