কীবোর্ড এবং মাউস নিয়ে জানা-অজানা | Keyboard and mouse are known-unknown
কম্পিউটারে কাজ করতে হলে সব চেয়ে যে দুটি যন্ত্র বেশী ব্যবহার করতে হয় তা হচ্ছে কীবোর্ড ও মাউস। কারণ কম্পিউটারে কাজ করতে হলে কোন না কোন ডেটা বা নির্দেশনা প্রদান করতে হয়।এ ডেটা এবং নির্দেশনা প্রদান করার জন্য কীবোর্ড এবং মাউস সবচেয়ে বেশী ব্যবহার করা হয়। তই এ যন্ত্র দুটি ব্যবহারে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
কী বোর্ডের বিভিন্ন ধরণের কী সমূহ :
- বর্ণমালা কী
- সংখ্যাসূচক কী
- ফাংশন কী
- নিউমেরিক কী-প্যাড
- এ্যারো কী
- স্পেশাল কী।
কীবোর্ডের কীসমূহের ব্যবহার:
কীবোর্ডের এক এক শ্রেণীর কীএক এক কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়। নিম্নে কীসমূহের ব্যবহার উল্লেখ করা হল:
বর্ণমালা কী- কীবোর্ডের ২৬টি ইংরেজী হরফের বড়হাতের (Capital Letter) বর্ণ অংকিত কী রয়েছে। এগুলোকে অপারেটরের টাইপিং সুবিধা ও দ্রুত ভাবে সম্পুন্ন করার জন্য সাজানো হয়েছে। বর্ণমালা টাইপ করার জন্য এ কী গুলো ব্যবহার করা হয়। স্বাভাবিক অবস্থায় কম্পিউটার চালু করলে ইংরেজি বর্ণমালার ছোট হাতের অক্ষর টাইপ হয়। Caps Lock কী চাপ দিলে কিংবা Shift কী চেপে ধরে যে কোন অক্ষর টাইপ করলে বড় হাতের অক্ষর পাওয়া যায়। বাংলা অক্ষর টাইপ করার জন্যও প্রতিটি কী’তে দুটি অক্ষর নির্ধারণ করা আছে। স্বাভাবিক বাবে একটি অক্ষর এবং Shift কী চেপে অন্য অক্ষরটি পাওয়া যাবে।
২৬টি বর্ণ ছাড়াও যতি চিহৃ (কমা, পূর্ণ বিরতি, সেমিকোলন ইত্যাদি) গুলোও বর্ণমালা কী এর মধ্যে পড়ে। বর্ণমালা কী-এর নিচে একটা লম্বাকৃতির বাটন রয়েছে। এটা প্রতি শব্দের মাঝখানে খালি স্থান তৈরিতে কাজে লাগে।এই শুন্যস্থান গুলো শব্দের স্ততন্ত্রতা বজায় রাখে। এই লম্বা বারটিকে স্পেসবার বলি।
সংখ্যা সূচক কী: কীবোর্ডের উপরে ০ হতে ৯ পর্যন্ত সংখ্যা চিহৃিত করা থাকে। সংখ্যা বাচক শব্দ টাইপ করতে এ সমস্ত কী ব্যবহার হয়।
ফাংশন কী : ফাংশন কী গুলোর অবস্থান হচ্ছে কী বোর্ডের একদম উপরের সারিতে। এগুলোর উপর F1, F2, F3…..F12. ইত্যাদি নাম লেখা থাকে এর প্রত্যেকটি কী বিশেষ কার্য সম্পাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়। এক একটি বিশেষ কাজ করার জন্য এক একটি ফাংশন কীতে নির্ধারিত করে দেয়া থাকে। এক এক ধরনের এ্যাপ্লিকেশন ভেদে ফাংশন কীর কার্যকারীতাও এক ্ এক ধরনের হয়ে থাকে।
নিউমেরিক কী-প্যাড : সংখ্যা লেখার জন্য কীবোর্ডে একটি উমেরিক কী প্যাড থাকে। কীবোর্ডের সর্ব ডানে এর অবস্থান। শুন্য (০) স্থানস্কিত বাটনটিআকারে একটু লম্বাএবং তা আড়াআড়ি ভাবে বসানো আছে।
নিউমেরিক কী-প্যাড সাধারণত : সংখ্যাবাচক তথ্যাদি ইনপুট দেয়ার সময় ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়াও সংখ্যাবাচক কী-প্যাডে কিছু কিছু গাণিতিক প্রতীক কী রয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- শুনিতক চিহৃ (*), বিয়োগ চিহৃ (-), যোগ চিহৃ (+), ভাগ চিহৃ (/) এবং দশমিক (.) চিহৃ।
এ্যারো কী : কীবোর্ডের ডান দিকে সংখ্যাবাচক কী-প্যাডের সাথে তীর চিহৃ খচিত কতগুলো কী রয়েছে। এদের সংখ্যা চার। এ কী গুলোকে উপরিভাগে ডান, বাম,উদ্ধ ও অধ: এ্যারো চিহৃ রয়েছে। কারসরকে পছন্দমতো স্থানে সরানো এবং এডিটিং কাজের জন্য এ তীর চিহৃিত কী গুলো ব্যবহার হয়ে থাকে।
স্পেশাল কী : কোন বিশেষ জাতীয় কার্য সম্পাদনের জন্য স্পেশাল কী ব্যবহার করা হয়। স্পেশাল কী গুলো ফাংশন ্কী এর মতো কাজ করে। কিন্তু উভয়ের কাজের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। ফাংশন কী এর কাজ পরিবর্তন করা যায়। অপর পক্ষে স্পেশাল কী যে সমস্ত কাজে ব্যবহৃত হয় তা কখনও বদলানো যায় না। অধিকস্ত স্পেশাল কী গুলো কী বোর্ডের পাশাপাশি একত্রে সাজানো থাকে না। নিম্নে কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ স্পেশাল কী নিয়ে আলোচনা করা হল।
Caps Lock কী : বড় অক্ষরে টাইপ করতে হলে ক্যাপস লককে চাপ দিয়ে তারপরে টাইপ শুরু করত হবে। এটা কর্মরত অবস্থায় লক করা থাকলে এবং সবুজ বাতি জ্বলে তা নির্দেশিত হয়। কিন্তু পুনরায় এটাতে চাপ দিলে বাতি নিভে যায় এবং পূর্বাবস্থায় ফিরে আসে।